বাউফলে প্রকৌশলী না থাকায় উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা

বাউফলে প্রকৌশলী না থাকায় উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা

মোঃ দেলোয়ার হোসেন,বাউফল: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরে (এলজিইডি) প্রকৌশলী না থাকায় উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে মোঃ সুলতান হোসেন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সুলতান হোসেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী চাকরীকালীন সময় একটি বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ওই ঘটনার তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চলতি বছর ৩০ জুলাই তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
 বাউফলে যোগদানের পরও নিয়মিত অফিস না করা ও ঠিকদারদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অংকের কমিশন আদায়সহ সুলতান হোসেনের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ওঠে।সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে চাকুরিতে পুনরায় বহাল হওয়ার জন্য তিনি ঢাকায় বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে তদবির চালাচ্ছেন।
 এদিকে সুলতান হোসেন বরখাস্ত হওয়ার পর পটুয়াখালী এলজিইডির সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী যুগল কৃষ্ণ মন্ডলকে বাউফল উপজেলা প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনিও নিয়মিত অফিস করেন না। সপ্তাহে ২/১ দিন পটুয়াখালী থেকে বাউফলে আসেন।
 উপজেলা প্রকৌশলীর চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের তদারকি না থাকায় নির্মাণকাজের গুনগত মান নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।এছাড়াও ইজিপি দরপত্র প্রক্রিয়া, প্রাক্কলন প্রেরণ, পরিকল্পনা গ্রহণ ও ঠিকাদারদের বিল প্রদানসহ দাপ্তরিক নানান কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদার বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী না থাকায় চলমান বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করা হচ্ছে না। ফলে বিল না পাওয়ায় অনেকের নির্মাণকাজ বন্ধ হওয়ার পথে। দ্রæত বাউফলে উপজেলা প্রকৌশলী পোষ্টিং দেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয় পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তার হাওলাদার বলেন, ‘বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জনবল সংকটের কারনে বাউফলে প্রকৌশলী পোষ্টিং দেয়া যাচ্ছে না।তবে দ্রæতম সময়ের মধ্যে বাউফলে উপজেলা প্রকৌশলী পোষ্টিং দেয়ার চেষ্টা করা হবে।